আপনি হয়তো খুব ভয়ের একটি চলচ্চিত্র দেখলেন বা একটা ভূতের বই পড়লেন। কিন্তু গল্প শেষ হয়ে গেলেও গল্পের চরিত্রগুলোর সাথে অনেক বেশি একাত্ম হয়ে আছেন। রাতে যখন ঘুমোতে গেলেন, তখন গল্পের সবগুলো ভৌতিক দৃশ্যগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠতে লাগলো। বিছানায় একা শুয়ে আছেন, কিন্তু মনে হলো কীসের যেন একটি আওয়াজ শুনতে পেলেন।
আমাদের প্রত্যেকের জীবনের সঙ্গেই ভয় কোনো না কোনোভাবে জড়িয়ে আছে। বিভিন্ন অলৌকিক বা অশরীরী ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের ‘ভূতের ভয়’ নামক অনুভূতি আবর্তিত হয়। কারো কাছে ব্যাপারখানা নিতান্তই রোমাঞ্চের, আবার কারো কাছে জীবন কেড়ে নেয়ার মতো ব্যাপার।
অনেক শিশু অল্প বয়স থেকেই ভূত বা অন্যান্য জগতের প্রাণীগুলির একটি ভয় অনুভব করে। অনেকের কাছে, সেই ভয় ও উদ্বেগগুলি কৈশোরে চলে যাওয়ার সাথে সাথে তারা অদৃশ্য হয়ে যাবে। তবে অন্যের জন্য ভয় থেকেই যায়। কারো কারো ক্ষেত্রে ভূতের ভয় এমনই তীব্র আকার ধারণ করে যে নিদ্রাহীনতা, হৃদরোগ, স্কিজোফ্রেনিয়া, ইনসোমনিয়ার মতো রোগেও আক্রান্ত হতে পারেন। চিকিৎসাশাস্ত্রে ভূতের এই ভয়কেই ফেসমোফোবিয়া বলে আখ্যা দেয়া হয়।
কোনও ধরণের ফোবিয়া কেন বিকশিত হয় তা স্পষ্ট নয়। উদ্বেগজনিত বা জিনগত প্রবণতা কিছু মানুষের মধ্যে ফোবিয়া ঝুঁকি বাঁড়িয়ে দেয়। ট্রমা বা জীবনের অন্যান্য ঘটনাগুলি ভবিষ্যতের ফোবিয়ার জন্য মঞ্চ তৈরি করতে পারে। অন্যদের জন্য, এটি স্বাধীনভাবে বিকাশ হতে পারে।
তবে ফেসমোফোবিয়ায় আক্রান্ত, তাদের ক্ষেত্রে ভয়ের মাত্রাটি অনেক বেশি। তারা একা ঘরে থাকতে ভয় পায়, অন্ধকারকে অসম্ভব ভয় পায়, নিস্তব্ধতা সহ্য করতে পারে না, শহরে বাস করলে গ্রামে কোনভাবেই রাত কাটাতে চায় না, ভৌতিক গল্প, সিনেমা বা ছবি থেকে অনেক দূরে থাকেন। তবে এই ধরনের ফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ প্রদর্শন করে থাকেন।
ভূতের ভয়কে সাধারণত খুব বেশি উদ্বেগজনক বলে মনে করা হয় না। তবে ভয়ের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে অথবা এই ভয় যদি দৈনন্দিন জীবনে খারাপ প্রভাব ফেলে, তবে এই বিষয়ে সতর্কতা গ্রহণ করা উচিত। তবে প্রথমেই উদ্বিগ্ন না হয়ে নিজে থেকেই চেষ্টা করতে হবে এই ফোবিয়া থেকে বের হয়ে আসার।তার কিছু পন্থা নিম্নরূপ:
•নিজেকে নিরাপদ রাখা
•ভূতের চলচ্চিত্র দেখা বা বই পড়া থেকে বিরত থাকা
•মনোচিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া
তথ্যসূত্রঃ
চিত্রসূত্রঃ
➤Wattpad
