হাঁচি হচ্ছে শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে সম্পর্কিত ইচ্ছানিরপেক্ষ নিরাপত্তামূলক একটি বিশেষ শারীরিক ক্রিয়া,যা কিনা দেহের অনেকগুলো অঙ্গের একটির পর একটি সাধারণ নড়াচড়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। একবার আপনি হাঁচির জন্যে টেনে শ্বাস নিলেন তো বাকী কাজটুকু আপনা-আপনিই হবে।
বিশেষজ্ঞ মতে, একটি হাঁচিতে এক লাখের মতো জীবাণু চারপাশে ২৫ ফুট পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে। হাঁচির মাধ্যমে মুখ থেকে যে বাতাস বেরিয়ে আসে, তার গতি থাকে ঘণ্টায় ১০০ মাইল।১৭৬ মি.মি.পারদ বায়ু চাপের সমান চাপ সৃষ্টি করতে পারে হাঁচি।
বিজ্ঞানীরা আমাদের ব্রেনের একটি নির্দিষ্ট অংশকে ‘হাঁচি কেন্দ্র’ বলে নামকরণ করেছেন। যখন আপনার নাকের ভেতরে সুড়সুড়ি লাগে, তখন একটি বার্তা আপনার ব্রেনের এই হাঁচি কেন্দ্রে পৌঁছে। এই হাঁচি কেন্দ্র তখন সাথে সাথে আরেকটি বার্তা সেই সকল দেহ পেশীকে প্রেরণ করে, যারা কিনা একত্রে মিলিত হয়ে একটি অসাধারণ জটিল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে, যাকে আমরা হাঁচি বলে থাকি।
হাঁচিকে সাধারণত দু’টি ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ
১) সংবেদনশীল পর্ব
২) বহির্মুখী বা শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত পর্ব।
হাঁচির জন্য দায়ী কোনো উপাদান বা গন্ধ নাকের ভেতরে মিউকোসা অংশে পৌঁছালে সেখানে উত্তেজনা বা সুড়সুড়ি জাতীয় অনুভূতি সৃষ্টির কারণে হিস্টামিন নামক একধরনের পদার্থ নিঃসৃত হয় যা নিউরোট্রান্সমিটার হিসেবেও কাজ করে থাকে। এটি মিউকোসা স্তরের নিচে ছড়িয়ে থাকা ট্রাইজেমিনাল স্নায়ু কোষকে উত্তেজিত করে। আর এর ফলাফল স্বরূপ একটি সংকেত আমাদের ব্রেনের হাঁচি কেন্দ্রে চলে যায়। ট্রাইজেমিনাল স্নায়ুটি আমাদের করোটির ১২টি স্নায়ুর মধ্যে ৫ম স্নায়ু যা কিনা আমাদের মুখের চামড়ার নিচে, পাশাপাশি নাকের কোমল মিউকোসা স্তরের নিচে ছড়িয়ে থাকে। আপনার নাকের চমড়ার নিচে থাকা ট্রাইজেমিনাল স্নায়ুর অংশগুলো খুবই সংবেদনশীল বা স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। যখন ট্রাইজেমিনাল স্নায়ু উত্তেজিত হয় তখন একটি সংকেত সাথে সাথে মেডুলাতে পৌঁছে যায় এবং মেডুলার পাশে আঘাত করে। এই মেডুলা নামক অংশটিকেই হাঁচি কেন্দ্র বলা হয়।
বিশেষজ্ঞ ড. রজার হেন্ডারসন জানান, হাঁচি দেওয়ার সময় মুখের সামনে হাত দিলেই স্পষ্ট বোঝা যায় যে, এর সঙ্গে মুখ থেকে শ্লেষ্মা ক্ষুদ্র ফোঁটার আকারে ছিটে আসে। এক হাঁচিতেই এমন ৪০ হাজার শ্লেষ্মা ফোঁটার আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে থাকে এক লাখের মতো জীবাণু। আর এগুলো ২৫ ফুট দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। হাঁচিতে এত জোর থাকে যে, দুই চোখ খোলা রেখে হাঁচি দেওয়া প্রায় অসম্ভব বিষয়।তবে বিষয়টা এমন না যে,চোখ খোলা থাকা অবস্থায় হাঁচি দিলে অক্ষিকোটর থেকে চোখ বের হয়ে যাবে।
তথ্যসূত্রঃ
➤ বিজ্ঞানযাত্রা
➤Quora
বিশেষজ্ঞ মতে, একটি হাঁচিতে এক লাখের মতো জীবাণু চারপাশে ২৫ ফুট পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে। হাঁচির মাধ্যমে মুখ থেকে যে বাতাস বেরিয়ে আসে, তার গতি থাকে ঘণ্টায় ১০০ মাইল।১৭৬ মি.মি.পারদ বায়ু চাপের সমান চাপ সৃষ্টি করতে পারে হাঁচি।
বিজ্ঞানীরা আমাদের ব্রেনের একটি নির্দিষ্ট অংশকে ‘হাঁচি কেন্দ্র’ বলে নামকরণ করেছেন। যখন আপনার নাকের ভেতরে সুড়সুড়ি লাগে, তখন একটি বার্তা আপনার ব্রেনের এই হাঁচি কেন্দ্রে পৌঁছে। এই হাঁচি কেন্দ্র তখন সাথে সাথে আরেকটি বার্তা সেই সকল দেহ পেশীকে প্রেরণ করে, যারা কিনা একত্রে মিলিত হয়ে একটি অসাধারণ জটিল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে, যাকে আমরা হাঁচি বলে থাকি।
হাঁচিকে সাধারণত দু’টি ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ
১) সংবেদনশীল পর্ব
২) বহির্মুখী বা শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত পর্ব।
হাঁচির জন্য দায়ী কোনো উপাদান বা গন্ধ নাকের ভেতরে মিউকোসা অংশে পৌঁছালে সেখানে উত্তেজনা বা সুড়সুড়ি জাতীয় অনুভূতি সৃষ্টির কারণে হিস্টামিন নামক একধরনের পদার্থ নিঃসৃত হয় যা নিউরোট্রান্সমিটার হিসেবেও কাজ করে থাকে। এটি মিউকোসা স্তরের নিচে ছড়িয়ে থাকা ট্রাইজেমিনাল স্নায়ু কোষকে উত্তেজিত করে। আর এর ফলাফল স্বরূপ একটি সংকেত আমাদের ব্রেনের হাঁচি কেন্দ্রে চলে যায়। ট্রাইজেমিনাল স্নায়ুটি আমাদের করোটির ১২টি স্নায়ুর মধ্যে ৫ম স্নায়ু যা কিনা আমাদের মুখের চামড়ার নিচে, পাশাপাশি নাকের কোমল মিউকোসা স্তরের নিচে ছড়িয়ে থাকে। আপনার নাকের চমড়ার নিচে থাকা ট্রাইজেমিনাল স্নায়ুর অংশগুলো খুবই সংবেদনশীল বা স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। যখন ট্রাইজেমিনাল স্নায়ু উত্তেজিত হয় তখন একটি সংকেত সাথে সাথে মেডুলাতে পৌঁছে যায় এবং মেডুলার পাশে আঘাত করে। এই মেডুলা নামক অংশটিকেই হাঁচি কেন্দ্র বলা হয়।
বিশেষজ্ঞ ড. রজার হেন্ডারসন জানান, হাঁচি দেওয়ার সময় মুখের সামনে হাত দিলেই স্পষ্ট বোঝা যায় যে, এর সঙ্গে মুখ থেকে শ্লেষ্মা ক্ষুদ্র ফোঁটার আকারে ছিটে আসে। এক হাঁচিতেই এমন ৪০ হাজার শ্লেষ্মা ফোঁটার আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে থাকে এক লাখের মতো জীবাণু। আর এগুলো ২৫ ফুট দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। হাঁচিতে এত জোর থাকে যে, দুই চোখ খোলা রেখে হাঁচি দেওয়া প্রায় অসম্ভব বিষয়।তবে বিষয়টা এমন না যে,চোখ খোলা থাকা অবস্থায় হাঁচি দিলে অক্ষিকোটর থেকে চোখ বের হয়ে যাবে।
তথ্যসূত্রঃ
➤ বিজ্ঞানযাত্রা
➤Quora
