চলুন,একটি প্রবাদ দিয়ে শুরু করা যাক "ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে" এখন শিশুর পিতারাই যদি ঘুমিয়ে থাকেন,তাহলে শিশুরা আর ঘুমানো ছাড়া কি বা করবে!
মূলত,হাইপারসমনিয়া হলো অতিরিক্ত ঘুমানো বা অতিরিক্ত ঘুমের জন্য দায়ী একটি স্নায়বিক রোগ।এটি প্রাথমিক (কেন্দ্রীয় / মস্তিষ্কের উৎস) হতে পারে, বা এটি অসংখ্য মেডিকেল অবস্থার যে কোনওটির ক্ষেত্রে গৌণ হতে পারে।যদিও একাধিক ধরণের হাইপারসমোনিয়া একই রোগীতে সহাবস্থান করতে পারে।
হাইপারসোমনিয়া বা অতিরিক্ত নিদ্রা এমন অবস্থা যা একটি ব্যক্তিকে দিনের বেলা জেগে থাকাতে সমস্যার সৃষ্টি করে। হাইপারসমনিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিরা যে কোনও সময় ঘুমিয়ে যেতে পারেন; উদাহরণস্বরূপ, কর্মক্ষেত্রে বা তারা যখন গাড়ি চালাচ্ছেন।
ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন অনুসারে,৪০% পর্যন্ত ব্যাক্তির ক্ষেত্রে সময়ে সময়ে হাইপারসমনিয়ার কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়।
যদিও পর্যাপ্ত ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তবুও অতিরিক্ত ঘুম অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে,যেমন;
•ডায়াবেটিস
•ওজন বৃদ্ধি
•মাথাব্যথা
•পিঠ ব্যথা
•হতাশার জাল
•হার্টে সমস্যা
•মৃত্যুঝুঁকি
হাইপারসমনিয়া নিয়ে কিছু মজার উক্তি হলো;
•জর্জ ফোরম্যান বলেছিলেন, স্কুলে সফল হওয়ার ক্ষেত্রে আমার একটাই বাধা ছিল, আর সেটি হলো ঘুম।
•চেচিন্সকি বলেছিলেন, স্বপ্নে দেখলাম যে আমি একটা বোরিং বক্তৃতার অনুষ্ঠানে আছি আর জেগে দেখি সত্যিই আমি বোরিং বক্তৃতার অনুষ্ঠানটাতেই আছি। এ ঘটনার চেয়ে খারাপ আর মাত্র একটা ঘটনাই ঘটতে পারে, তা হলো, আমি একটা বোরিং বক্তৃতার অনুষ্ঠানে আছি, কিন্তু আমি ঘুমাতে পারছি না।
•আমেরিকান কমেডিয়ান স্তিভেন রাইট বলেছিলেন, তিনি নাকি একদিন একটা স্যাটেলাইট ডিশে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এটা সমস্যা নয়, সমস্যা হলো, তাঁর ঘুমের সময় দেখা স্বপ্নটা টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হয়ে গেছে।
•বিখ্যাত টাইপোগ্রাফার ম্যাক্স কফমেন বলতেন, গড় মানুষের জন্য যে পরিমাণ ঘুম প্রয়োজন তা হলো, ... আর পাঁচ মিনিট!
সর্বশেষে আমরা এটাই বলতে পারি, যদিও দীর্ঘস্থায়ী হাইপারসমনিয়া নিরাময়ের কোনও প্রতিকার পাওয়া যায় নি।তবে এমন অনেকগুলি চিকিৎসা রয়েছে যা রোগীদের জীবনমানের উন্নতি করতে পারে, যা হাইপারসমনিয়ার নির্দিষ্ট কারণ বা কারণগুলির উপর নির্ভর করে নির্ণয় করা হয়।
তথ্যসূত্রঃ
আরও পড়তে পারেনঃ
