চলুন, বিষয়টিকে একটি উক্তির মাধ্যমে শুরু করা যাক,'আমাদের যখন কাঁদতে হবে তখন আমরা কান্নাকাটি করি না এবং অকারণে কান্নাকাটি করে তোলপাড় করে ফেলি।'
তবে এমন ব্যক্তির সংখ্যা খুবই কম যারা পেঁয়াজ কেটেছেন তবে একটুও কান্না করেন নাই।কান্নার সময় আমাদের চোখ দিয়ে যা বের হয় তা কিন্তু জল না যদিও তা দেখতে জলের মতোই।
জেনে অবাক হবেন যে,টিয়ার ৩ প্রকার।যেমন;
•ইমোশনাল টিয়ারঃবিভিন্ন আবেগঘন মুহূর্তে এটি নিঃসৃত হয়।
•ব্যাসাল টিয়ারঃচোখ অনবরত নিঃসৃত করতে থাকে।
•রিফ্লেক্সিভ টিয়ারঃযখন কোনো যন্ত্রণাদায়ক পদার্থ আমাদের চোখে প্রবেশ করে।
আমরা যখন পেঁয়াজ কাটি তখন পেঁয়াজের অনেক কোষ ফেটে যায়। ফলে কোষের ভেতর থাকা অ্যামিনো এসিড সালফোক্সাইড এবং এনজাইম ল্যাক্রিমেটোরি ফ্যাকটর সিনথেজ বের হয়ে আসে।
এই এনজাইম তৎক্ষণাৎ অ্যামিনো এসিড সালফোক্সাইডকে, সিন-প্রোপেনথায়াল-এস-ওক্সাইড নামক একটি পদার্থে পরিনত করে। এটি হচ্ছে একটি উদ্বায়ী পদার্থ, যা সহজেই পারিপার্শ্বিক তাপমাত্রায় গ্যাসে পরিণত হয়ে যায়।
সিন-প্রোপেনথায়াল-এস-ওক্সাইড এর এই গ্যাস তখন আমাদের চোখকে অনবরত ভিজিয়ে রাখা ব্যাসাল টিয়ারের অন্যতম উপাদান পানির সাথে মিলে মৃদু সালফিউরিক এসিডে পরিণত হয়। এই মৃদু সালফিউরিক এসিডকে আপনি ব্যাটারির এসিডের সাথে তুলনা করতে পারেন। ফলে আমাদের চোখে জ্বালাপোড়া শুরু হয়।
এই জ্বালাপোড়া ভাব কমানোর জন্য চোখের ল্যাক্রিমাল গ্রন্থি রিফ্লেক্সিস টিয়ার নিঃসৃত করতে থাকে।এই টিয়ার-ই মৃদু সালফিউরিক এসিডকে ধুয়ে আমাদের চোখ উপচে গাল বেয়ে পড়তে থাকে।
তবে কি পেঁয়াজের অনুভূতি এড়ানো সম্ভব?
জাপানে বিজ্ঞানীরা একটি অশ্রুহীন পেঁয়াজের জাত উদ্ভাবন করেছিলেন। তবে এতে পেঁয়াজের স্বাক্ষরবাহী গন্ধের অভাব রয়েছে। এ ব্যাপারে ডাঃ গোলকজাক বলেছেন, "স্বাদ একেবারেই আলাদা এর।"
তথ্যসূত্রঃ

