লজ্জা একধরনের অস্বস্তি যা আমাদের অনেকের হয়ে থাকে।অল্পস্বল্প হলে এতে বিশেষ অসুবিধা হয় না। আমাদের অনেকের অপরিচিত লোকের সঙ্গে কথা বলতে গেলে লজ্জা করে, কিন্তু প্রাথমিক আড়ষ্টতা কেটে গেলে আমরা স্বচ্ছন্দ বোধ করি, এমনকি উপভোগও করতে পারি তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা।
আপনার সোশ্যাল ফোবিয়া থাকলে আপনি অচেনা লোকের সামনে খুব অস্বস্তিবোধ করবেন। আপনার মনে হবেঃ
• সবাই আপনাকে অপছন্দ করছে
• আপনি এখনি কী করতে কী করে বসবেন
এই অনুভূতি এতই কষ্টকর হতে পারে যে আপনি হয়ত লোকের সঙ্গে মেলামেশাই করতে পারবেন না। সব সামাজিক অনুষ্ঠান আপনি এড়িয়ে যাবেন।
প্রধানতঃ দুধরনের সোশ্যাল ফোবিয়া দেখা যায়ঃ
ক. সাধারণ (বা জেনেরালাইজেড):মনে করেন যে লোকে আপনার দিকে তাকিয়ে দেখছে বা তাঁরা আপনি কী করছেন না করছেন তার উপর নজর রাখছে
খ. স্পেসিফিক: এটি দেখা যায় কিছু লোকের মধ্যে যাঁদের কাজের ধরনই এমন যে তাঁদের মধ্যমণি হতে হয়। নায়ক, গায়ক, শিক্ষক বা ইউনিয়নের নেতা প্রমুখরা এই দলের অন্তর্ভুক্ত। স্পেসিফিক সোশ্যাল ফোবিয়া থাকলে লোকের সঙ্গে মেলামেশা করতে কোনো অসুবিধা হয় না। কিন্তু সবার সামনে যখন দাঁড়িয়ে কথা বলতে বা গান গাইতে গেলে টেনসন হয় এবং কেউ কেউ তোতলাতে থাকেন।
এই দুধরনের সোশ্যাল ফোবিয়াতেই কিছু শারীরিক উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন ধরুনঃ
•মুখ শুকিয়ে যাওয়া
•অতিরিক্ত ঘামা
•বুক ধড়ফড় করা
•হাত বা পা ঝিমঝিম করা বা অসাড় হয়ে যাওয়া
বলা হয়ে থাকে যে,একশো জনের মধ্যে পাঁচ জনের সোশ্যাল ফোবিয়া থাকে। পুরুষের তুলনায় মহিলাদের ক্ষেত্রে এটি দুতিনগুণ বেশি দেখা যায়।
আগে ভ্যালিয়াম জাতীয় ঔষধ ব্যবহার হতো এর চিকিৎসার জন্য। এখন আমরা জানি যে এগুলিতে নেশা হয়ে যায়, এবং কোনো দীর্ঘস্থায়ী সুফল পাওয়া যায় না। সোশ্যাল ফোবিয়ার চিকিৎসার জন্য এসব ব্যবহার করা ঠিক নয়।
তথ্যসূত্রঃ
চিত্রসংগ্রহঃ
➤Edelweiss publications