কখনও কি ভেবে দেখেছেন যে,আমাদের শরীর থেকে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ঘটতে পারে?
হ্যাঁ, আমাদের দেহগুলি প্রাকৃতিকভাবে তেজস্ক্রিয়, কারণ আমরা পরিবেশে প্রাকৃতিকভাবে উপস্থিত তেজস্ক্রিয় পদার্থগুলি খাই, পান করি এবং শ্বাস নিই। এই পদার্থগুলি আমাদের দেহগুলি, আমাদের টিস্যু, অঙ্গ এবং হাড়ের মধ্যে শোষিত হয়।
অর্ধেকেরও বেশি অভ্যন্তরীণ বিকিরণগুলি পটাসিয়াম ৪০ (K-40) থেকে আসে, যা খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে মানব দেহে প্রবেশ করে। তেজস্ক্রিয় কার্বন ১৪ (C-14) আইসোটোপের পাশাপাশি প্রতি সেকেন্ডে আমাদের দেহে আট হাজার পরমাণুর ক্ষয় হয়: এজন্য বলতেই পারি যে,মানুষেরা তেজস্ক্রিয় প্রাণী!
পটাসিয়াম -৪০এবং কার্বন -১৪ এর পরমাণু হলো বিটা ইলেক্ট্রন নির্গমনকারী কণা যা তাৎক্ষণিক দেহে শোষিত হয়। পটাসিয়াম-৪০ পরমাণুর ক্ষয়জাত পণ্যের ১১% গামা রশ্মির আকার ধারণ করে, যা দেহের বাইরে সনাক্ত করার জন্য পর্যাপ্ত।
পুরো শরীরের কাউন্টারে সংবেদনশীল ডিটেক্টর ব্যবহার করে বিকিরণ পরিমাপ করা যায়। এই ডিটেক্টরগুলি শরীরে বা শরীরে থাকা তেজস্ক্রিয় পদার্থ দ্বারা নির্গত গামা রশ্মি পরিমাপ করতে পারে। বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় পদার্থ বিভিন্ন শক্তির গামা রশ্মি উৎপাদন করবে, যা উপাদানটি সনাক্ত করার একটি কৌশল। অন্যান্য ধরণের তেজস্ক্রিয় ক্ষয় (বিটা এবং আলফা) সনাক্ত করা যায় না তবে ভাগ্যক্রমে গামা রশ্মি প্রায়শই তাদের সাথে থাকে যাতে বেশিরভাগই সনাক্ত করা যায়।
পৃথিবীতে পাথরের মধ্যে যে আদিম রেডিওআইসোটোপ রয়েছে সেগুলি পানীয় জলের, উদ্ভিদ এবং খাবারের স্যাম্পলেও পাওয়া যায়। আমাদের দেহে এই প্রাকৃতিক রেডিওসোটোপগুলির উপস্থিতি গড়ে প্রতি বছর 0.25 এমএসভি বার্ষিক ডোজ তৈরি করে।
তথ্যসূত্রঃ
➤HPS
চিত্রসংগ্রহঃ
www.alamy.com
