সাধারণত আমরা যখন স্বপ্ন দেখি তখন আমরা সচেতন হই না যে স্বপ্নটি বাস্তব নয়। তবে মনোবিজ্ঞানের একটা ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো লুসিড ড্রিমিং। এটি এমন এক ধরনের স্বপ্ন যেখানে আপনার চেতনা কাজ করে।
সাধারণত লুসিড ড্রিমিং এর সময় আপনি স্বপ্ন বেশ পরিষ্কারভাবে দেখতে পান এবং স্বপ্নে প্রদত্ত অনুভুতিগুলো খুবই তীব্র হয়, প্রায় বাস্তবের মতন এবং আপনি চাইলেই স্বপ্ন দৃশ্য নিজের ইচ্ছের মতন করে নিতে পারবেন।
সাল ১৯৭০, কিথ হেরেন নামের একজন প্যারাসাইকোলজিস্ট লুসিড ড্রিমিং কীভাবে হয় তা জানার জন্যে গবেষণা শুরু করেন।
নিউরোলজিস্ট জে. অ্যালান হবসন লুসিড ড্রিমিং এর সময় মস্তিষ্কের কাজ কেমন হয় তা নিয়ে একটা হাইপোথেসিস দেন।তিনি বলেন, স্বপ্ন দেখার সময় কোনো কিছু চিনে ফেলা হলো লুসিড ড্রিমিং এর প্রথম পর্যায়।
গত ২০ বছরে মনোবিজ্ঞানী ডঃ স্টিফেন লাবার্জ লুসিড ড্রিমিং গবেষণার সম্প্রসারণ করে আসছেন। লাবার্জ এর কাজটি গবেষকদেরকে লুসিড ড্রিম দেখার উপকারগুলি আবিষ্কার করতে সহায়তা করেছে। এটি পিটিএসডি, পুনরাবৃত্তিক দুঃস্বপ্ন এবং উদ্বেগের মতো অবস্থার চিকিৎসায় কার্যকর হতে পারে।
লুসিড ড্রিমিং যে এমনি এমনি হয় তা কিন্তু না, কেউ ইচ্ছা করলে চর্চার মাধ্যমেও লুসিড ড্রিমিং করতে পারে। এজন্য যা করতে হবে তা হলো, ঘুমোতে যাবার আগে নিজেকে বারবার বলতে হবে , ‘আজ আমি স্বপ্ন নিয়ন্ত্রন করতে পারবো’ অথবা ‘আজ স্বপ্ন দেখার সময় আমি বুঝতে পারবো’।আবার বেশি বেশি ভিডিও গেমস খেললেও স্বপ্ন নিয়ন্ত্রন সম্ভব!
লুসিড ড্রিমিং-এর ব্যবহার:
তিব্বতের সাধুরা কিন্তু রীতিমত লুসিড ড্রিমিং এর চর্চা করে।এটাকে ড্রিম ইয়োগা-ও বলা হয়ে থাকে!
আবার খুব সহজ একটা ব্যবহার হলো, দুঃস্বপ্ন পরিবর্তন করে ফেলা। তাছাড়াও লুসিড ড্রিমিং মানসিক শক্তি এবং সৃজনশীলতা বাড়ায়!
যারা নিয়মিত লুসিড ড্রিমিং করে তারা মাঝেমধ্যেই স্বপ্ন এবং বাস্তব জীবন গুলিয়ে ফেলে এবং কখনো কখনো কারো কাছে স্বপ্নের জীবনটাই বেশি সুন্দর মনে হয়!
তথ্যসূত্রঃ
চিত্রসংগ্রহঃ
➤WordPress.com
