এটি আরব সাগরে অবস্থিত ইয়েমেনের অংশ সোকোত্রা দ্বীপপুঞ্জের স্থানীয় একটি ড্রাগন গাছ। যা সোসোক্রা ড্রাগন ট্রি বা ড্রাগনস ব্লাড ট্রি নামেও পরিচিত।এমন নামকরণের পিছনে গাছের দ্বারা উৎপাদিত লাল স্যাপ(ফ্লুয়িড) দায়ী।
১৮৫৩ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির লেফটেন্যান্ট ওয়েলস্টেডের নেতৃত্বে সোকোত্রায় জরিপের সময় প্রথম এর বিবরণ দেওয়া হয়েছিল। এর প্রথম নামকরণ করা হয়েছিল পেরোকারপাস ড্রাকো, তবে ১৮৮০ সালে স্কটিশ উদ্ভিদবিদ আইজ্যাক বেলে বালফোর প্রজাতির একটি আনুষ্ঠানিক বিবরণ দিয়েছেন এবং এর নাম রাখেন ড্রাকেনা সিনাবাড়ি।
এদের একটি অদ্ভুত শারীরিক গঠন আছে;মনে হয় যেনো একটি খোলা ছাতা।এর ফলগুলি ১ থেকে ৪ টি বীজযুক্ত ছোট মাংসল বেরির মতো হয়। এগুলি বিকাশের সাথে সাথে এগুলি সবুজ থেকে কালো হয়ে যায় এবং পাকা হয়ে গেলে কমলা হয়ে যায়।
বেরিগুলো পাখিরা খায় এবং এদের দ্বারাই ছড়িয়ে পড়ে। বীজগুলি ৪-৫ মিমি ব্যাসের হয় এবং ওজন গড়ে ৬৮ মিলিগ্রাম হয়। বেরিগুলি থেকে একটি গভীর লাল রেজন বের হয় যা ড্রাগনস ব্লাড হিসাবে পরিচিত।
•মূলত,ড্রাগনস ব্লাড উত্তেজক হিসাবে ব্যবহৃত হয়। মূলটি একটি আঠা-রেজন দেয়, যা টুথপেস্ট হিসাবেও ব্যবহৃত হয়।
•গাছগুলি তাদের ক্রিমসন রেড রেজনের জন্য কাটা হয় যা প্রাচীন পৃথিবীতে অত্যন্ত মূল্যবান ছিল এবং আজও ব্যবহৃত হয়।
•সোকোত্রা দ্বীপ নগরীর স্থানীয় বাসিন্দারা এর রেজনকে একটি নিরাময় হিসাবে ব্যবহার করে।
তথ্যসূত্রঃ
