Skip to main content

Posts

মিয়ানমারের পক্ষ ছাড়তে শুরু করছে বিভিন্ন দেশ!

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ও সংখ্যালঘু ইস্যুতে দৃশ্যত অবস্থান পাল্টেছে ক্যামেরুন, ইকুয়েটরিয়াল গিনি, নামিবিয়া, কেনিয়া, লেসেথো, মোজাম্বিক, তানজানিয়া, পালাউ ও সলোমন দ্বীপপুঞ্জ। এই ৯টি দেশ ২০১৯ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সংখ্যালঘু বিষয়ক প্রস্তাবের পক্ষে বা বিপক্ষে কোনো অবস্থান না দিয়ে ‘অ্যাবস্টেনশন’ বা ‘অ্যাবস্টেইন’ ভোট দিয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার রাতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্লেনারি অধিবেশনে প্রায় একই ধরনের প্রস্তাবে ওই দেশগুলো ‘অ্যাবস্টেইন’ অবস্থান থেকে সরে এসে পক্ষে ভোট দিয়েছে গত বৃহস্পতিবার রাতে শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে ১৩০-৯ ভোটে। বাংলাদেশসহ ১৩০টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। মিয়ানমার, চীন, রাশিয়া, বেলারুশ, কম্পোডিয়া, লাওস, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও জিম্বাবুয়ে-এই ৯টি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, জাপানসহ মোট ২৫টি দেশ ‘অ্যাবস্টেইন’ ভোট দিয়েছে। চীন রাশিয়া অন্তত নিরপেক্ষ থাকতে পারত তাও করছে না তারাএকেবারে সন্ত্রাসী মিয়ানমারের পক্ষেই। জিম্বাবুয়ের মতো দেশও মিয়ানমারের পক্ষে। তথ্য এবং চিত্র সূত্র: ইন্টারনেট

এসি দূর্ঘটনার কারণ ও প্রতিকার

শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের (এসি) ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ–সংক্রান্ত দুর্ঘটনাও বেড়ে গেছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অসচেতনতা বা অসতর্কতার কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। বাজারে এখন নানা রকম এসি পাওয়া যায়। তবে মানসম্মত এসি ছাড়া দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এসিসংশ্লিষ্ট দুর্ঘটনার কারণ ও এ থেকে সুরক্ষার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ওয়ালটন এসি গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী সন্দীপ বিশ্বাস। জেনে নিন তাঁর পরামর্শ: বিস্ফোরণের কারণ: ১. এসির পাওয়ার কেব্‌ল সঠিক স্পেক–এর ব্যবহার না করলে। ২. এসির কনডেনসারে ময়লা থাকলে কম্প্রেসরে হাই টেম্পারেচার ও হাই প্রেশার তৈরি হয়ে। ৩. এসির ভেতরের পাইপের কোথাও ব্লকেজ হলে এসির ভেতরে হাই প্রেশার তৈরি হয়ে কম্প্রেসর ব্লাস্ট হতে পারে। ৪. কম্প্রেসরের লিমিটের চেয়ে বেশি রেফ্রিজারেন্ট (refrigerant) চার্জ করলে হাই প্রেশার তৈরি হয়ে। ৫. কম্প্রেসরে প্রয়োজনীয় পরিমাণ রেফ্রিজারেন্ট না থাকলে ভেতরের তাপমাত্রা লিমিটের চেয়ে বেড়ে গিয়ে। ৬. সঠিকভাবে এসির ভ্যাকুয়াম না করলে। ৭. কম্প্রেসরে সঠিক পদ্ধতিতে রেফ্রিজারেন্ট চার্জ না করলে কম্প্রেসরে হাই প্রেশার...

এমজি-৪২: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এক জার্মান দানবের গল্প

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকান  সৈন্যরা প্রত্যেকটি জিনিসেরই একটি ডাকনাম দিত, এমনকি শত্রুপক্ষের যুদ্ধাস্ত্রেরও। জার্মান মেশিনগান-৪২ সংক্ষেপে এমজি-৪২ কে আমেরিকান সৈন্যরা ডাকতো 'Hitler’s Buzz Saw' এবং সোভিয়েত রেড আর্মির সৈন্যরা ডাকতো 'The Linoleum ripper' নামে। কেননা এটি করাতের মতই শত্রুপক্ষের সৈন্যদেরকে নিমিষেই শেষ করে দিত। বহু সামরিক ইতিহাসবিদ এমজি-৪২ কে এখন পর্যন্ত তৈরি হওয়া সবচেয়ে সেরা 'জেনারেল পারপাস মেশিনগান' বলে অভিহিত করেছেন। ১৯৩৯ সালে যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় তখন জার্মান সেনাবাহিনীর সার্ভিসে ছিল নির্ভরযোগ্য একটি মেশিনগান এমজি-৩৪। কিন্তু এমজি-৩৪ ছিল একটি ব্যয়বহুল অস্ত্র। কেননা এর উৎপাদন ছিল সময়সাপেক্ষ এবং তুলনামূলক কঠিন। যুদ্ধ শুরুর পর জার্মান হাইকমান্ড ফ্রন্ট-লাইনে এমন অধিক  মেশিনগানের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে যেগুলো হবে এমজি-৩৪ এর মত ক্ষিপ্র কিন্তু তুলনামূলক সস্তা এবং যেগুলোর উৎপাদনও হবে দ্রুততর। অবশেষে জার্মান অস্ত্র নির্মাতা কোম্পানি মাউজার এরকম একটি মেশিনগান ডিজাইন করতে সক্ষম হয় যেটি সার্ভিসে আসে ১৯৪২ সালে। এজন্য এর নাম দেওয়া হয় এমজি-৪২। অতি উচ...

গুগল ছাড়া অন্য সব সার্চ ইঞ্জিন।

সার্চ ইঞ্জিন গুগোলে সেকেন্ডে ৪০ হাজার বিষয়ে সার্চ করা হয়। কিন্তু এমন অনেক বিষয় আছে যেগুলো সবজান্তাখ্যাত গুগোলে পাওয়া যায় না। এমন বিশেষ বিষয় সার্চের জন্য রয়েছে আলাদা সার্চ ইঞ্জিন। গুগল ছাড়া অন্য সার্চ ইঞ্জিনের তথ্য নিয়ে আজকের আয়োজন। ✍পিপীলিকা পিপীলিকা বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র অনুসন্ধান ইঞ্জিন যা বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই কাজ করতে সক্ষম। এ উন্মুক্ত ওয়েব সার্ভিসটি সারা দেশের তথ্য অনুসন্ধান করতে সহায়তা করে। এটি দেশের প্রধান বাংলা ও ইংরেজি পত্রিকার সংবাদ, বাংলা ব্লগ, বাংলা উইকিপিডিয়া ও সরকারি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিশ্লেষণ ও সংরক্ষণ করে। পিপীলিকাতে বাংলা তথ্য বিশ্লেষণ ও অনুসন্ধানের ওপর গুরুত্ব দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। (https://www.pipilika.com/)। ✍ইয়াহু পৃথিবীর প্রথম জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন ইয়াহু (yahoo.com)। ১৯৯৪ সালে ইয়াহুর যাত্রা শুরু। প্রথমে এটি ডিরেক্টরি সাবমিশন ওয়েবসাইট হলেও পরে তা সার্চ ইঞ্জিনে রূপান্তর করা হয়। ✍স্টার্ট পেজ ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা বজায় রেখে প্রাসঙ্গিকতা ও জনপ্রিয়তার ভিত্তিতেই সার্চ রেজাল্ট দেখানো হয় স্টার্ট পেজে। গুগলের মতোই এর ইন্টারফেস হলেও এতে কোনো ডুডল নেই। এমনকি ...

আম্রপালী এবং একটি ইতিহাস

আম্রপালী ছিলেন এমন একজন অনিন্দ্য সুন্দরী ; প্রায় ২,৫০০ বছর আগে রাষ্ট্র যাকে বানিয়েছিল নগরবধূ বা পতিতা । স্বাদের দিক থেকে অনেকের কাছেই 'আম্রপালী' আম খুবই প্রিয় । আকারে ছোট কিন্তু মিষ্টির দিক থেকে যেন সকল আমকে পিছনে ফেলে দিয়েছে 'আম্রপালী' । কিন্তু  এই আমটার নামকরণ কোথা থেকে হল জানেন ? আম্রপালী জন্মেছিলেন আজ থেকে ২,৫০০ বছর আগে ভারতে । তিনি ছিলেন সে সময়ের শ্রেষ্ঠ সুন্দরী এবং নর্তকী । তার রুপে পাগল ছিল পুরো পৃথিবী আর এই রুপই তার জন্য কাল হয়ে ওঠে । যার কারণে তিনি ছিলেন ইতিহাসের এমন একজন নারী, যাকে রাষ্ট্রীয় আদেশে পতিতা বানানো হয়েছিল ! আম্রপালী বাস করতেন বৈশালী শহরে । বৈশালী ছিল প্রাচীন ভারতের গণতান্ত্রিক একটি শহর, যেটি বর্তমানে ভারতের বিহার রাজ্যের অর্ন্তগত ।  মাহানামন নামে এক ব্যক্তি শিশুকালে আম্রপালীকে আম গাছের নিচে খুঁজে পান । তার আসল বাবা-মা কে ইতিহাস ঘেঁটেও তা জানা যায়নি । যেহেতু তাকে আম গাছের নিচে পাওয়া যায় তাই তার নাম রাখা হয় আম্রপালী । সংস্কৃতে আম্র মানে আম এবং পল্লব হল পাতা । অর্থাৎ, আমগাছের নবীন পাতা । কিন্তু শৈশব পেরিয়ে কৈশোরে পা দিতেই আম্রপালীকে নিয়ে হইচই পড়ে যায় ...

বিশ্ব বন্ধুত্ব দিবস | International Friendship Day

বন্ধুত্ব দিবস হলমার্ক কার্ডের প্রতিষ্ঠাতা “জয়েস হল” দ্বারা উন্নীত হয়েছিল ১৯১৯ সালে এবং আগস্টের প্রথম রবিবার বন্ধুত্ব দিবস এবং এই দিন সবাই একে অন্যেকে কার্ড পাঠাত।  কিন্তু, বন্ধুত্ব দিবসের ইতিহাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু। ১৯৩৫ সালে, মার্কিন কংগ্রেস ঘোষণা করেন যে আগস্ট মাসের প্রতি প্রথম রবিবার বন্ধুত্ব দিবস হিসেবে প্রতিপালিত হবে। সেই থেকে বন্ধুত্ব দিবস হয় জাতীয় উদযাপিত দিনগুলোর মধ্যে একটি। খুব শীঘ্রই এটি খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবস এর রুপ লাভ করে।  বিশ্ব বন্ধুত্ব দিবস ধারণাটি ১৯৫৮ সালের ২০ জুলাই ডঃ Artemio Bracho দ্বারা প্রস্তাবিত হয়, যখন তিনি তার বন্ধুদের সাথে “পুয়ের্তো Pinasco” তে (নদীর তীরে একটি শহর যা উত্তর Asuncion, Paraguay থেকে প্রায় ২০০ মাইল দূরে অবস্থিত) ডিনার করছিলেন। কিন্তু বন্ধুত্ব দিবস বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন তারিখে পালন করা হয় প্রথম বিশ্ব বন্ধুত্ব দিবস ৩০ জুলাই করার জন্য প্রস্তাবিত হয়ে ছিল ১৯৫৮ সালে। ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘ বিশ্বময় বন্ধুত্বের আলাদা অবস্থানে নিজেদের নিয়ে যায় ৷ ২৭ এপ্রিল ২০১১ জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ৩০ জুলাইকে বিশ্ব...

বোয়ানথ্রপি | Boanthropy

একদিন দেখলেন আপনার বন্ধু গরুর মত দেয়ালে গুতোগুতি করছে । প্রথম দিন বেশি ততটা গুরুত্ব দিলেও পরের দিন খেয়াল করলেন বন্ধুটি মাঠে গরুর মত ঘাস খাচ্ছে । এরপর ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে জানতে পারলেন বন্ধু বোয়ানথ্রপি নামক মানসিক রোগে ভুগছেন। বোয়ানথ্রপি হলো এক ধরনের মানসিক রোগ যাতে আক্রান্ত ব্যক্তি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন সে একটা গরু। তবে শুধুমাত্র বিশ্বাসেই সীমাবদ্ধ নয় বরং তার আচরণ, কার্যকলাপ গরুর মতো হয়ে যায়। ‘বোয়ানথ্রপি’ হলো একটি মিশ্র শব্দ। ল্যাটিন শব্দ Bo অর্থ গরু এবং গ্রিক শব্দ Anthropy অর্থ মানুষ থেকেই Boanthropy শব্দের উৎপত্তি। এতে মূল অর্থ হয়- গরুর মতো মানুষ।  একটি গরুর যেসব আচরণ দেখা যায় সেসব আচরণ একজন বোয়ানথ্রপিতে আক্রান্ত রোগীর মধ্যেও দেখা যায়। বিশ্লেষণ করলে এ কারণগুলো বেশি দেখা যায়ঃ- - মাংসাশী থেকে হঠাৎ তৃণভোজী হয়ে যায়। গরুর মতো মাঠে ঘাস খেতেও দেখা যায়।  - মাঠে বা জঙ্গলে থাকতে পছন্দ করে। - নিজের দু হাত কে পা মনে করে হামাগুড়ি দিয়ে গরুর মতো চলার চেষ্টা করে। - গরুর মতো গুতোগুতি করার চেষ্টা করে। - কথা বলা ছেড়ে দিয়ে গরুর মতো হাম্বা হাম্বা করে। ইত্যাদি। বোয়ানথ্রপি নারী পুরুষ উভয়েরই ...

আমেরিকার বর্তমান পতাকা এবং একটি ইতিহাস

"ওয়াশিংটন এটি গ্রহণ করুক ... এবং আমি তোমার গ্রেড পরিবর্তন করার বিষয়ে বিবেচনা করব" বেটসি রস সম্পর্কে জানার পরে, সম্ভবত আপনি পরবর্তী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পতাকাগুলি কীভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল তা নিয়ে খুব একটা চিন্তা করেননি। ফ্ল্যাগমেকাররা প্রতিটি নতুন রাজ্যের জন্য কেবল একটি নতুন তারকা যুক্ত করেছে পতাকায়, তাই না? কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, এটি এত সহজ না। প্রতিটি নতুন পতাকার একটি যত্নশীল নকশা আছে, এবং তারার বিন্যাস অবশ্যই সুনির্দিষ্ট এবং প্রতিসম হতে হবে। আমরা আজ যে পতাকাটি দেখি, তা এক হাইস্কুল স্টুডেন্টের দ্বারা নকশা করা হয়েছিল - যা এমনকি আলাস্কা এবং হাওয়াই রাজ্য হওয়ার আগের ঘটনা। ২০০৯ সালে, ডিজাইনার, বব হেফ্ট তার গল্পটি স্টোরি কর্পসকে জানিয়েছেন। এটি ছিল ১৯৫৮ সাল, এবং আমেরিকাতে কেবল ৪৮ টি স্টেট ছিল। পতাকাটি ছিলো আটটি তারার ছয় সারি বৈশিষ্ট্যযুক্ত। হেফ্টের ইতিহাস শিক্ষক একটি শ্রেণি প্রকল্প নির্ধারণ করেছিলেন যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে তাদের তৈরি কিছু আনতে হতো। "বেটসি রস গল্পটি দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে" এবং আলাস্কা এবং হাওয়াই উভয়ই শীঘ্রই স্টেটের মর্যাদা অর্জন করতে প...

Tips for teaching from home!

টেট্রোফোবিয়া

টেট্রোফোবিয়া (টেট্রা থেকে, "চার" এর গ্রীক) কোয়াড্রোফোবিয়া নামেও পরিচিত (কোয়াটিউওর থেকে, "চার" এর লাতিন)যা  চার নম্বরের ভয় কে নির্দেশ করে।  এটি মূলত চীন, ভিয়েতনাম, কোরিয়া এবং জাপানের মতো এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ প্রচলিত আছে। সাংহাইয়ের একটি আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের একটি লিফট কন্ট্রোল প্যানেলে ৪, ১৩ এবং ১৪ বাদ রয়েছে।  ম্যান্ডারিন চাইনিজে "চার" এবং "মৃত্যু" র অনুরূপ উচ্চারণের কারণে চার অনুপস্থিত।  ত্রিশকেডকফোবিয়ার কারণে ১৩ তলা বাদ। চৌদ্দ সংখ্যাটিতে চার উপস্থিত থাকার কারণে এটিও বাদ আছে।  টেট্রাফোবিয়া (প্রাচীন গ্রীক (টেট্রিস) থেকে, যার অর্থ 'ফোর', এবং প্রাচীন গ্রীক φόβος (ফিবোস), যার অর্থ 'ভয়'),  চার সংখ্যাটির উদাহরণ এড়ানোর অনুশীলন যা পূর্ব এশীয় দেশগুলির মধ্যে একটি অন্ধবিশ্বাস। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় বেশ কয়েকটি আকাশচুম্বী বিল্ডিং চতুর্থ এবং চৌদ্দ  তম তলা ছেড়ে গেছে, বিশেষত সেগুলি যা চীনা বংশধরদের দ্বারা অর্থায়িত ; উদাহরণস্বরূপ প্লাজা সেমঙ্গগীতে, চতুর্থ তলটি থ্রি এ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে।  এনার্জি টাওয়ারে, ৩৯ তলা...

অটোফোবিয়া

অটোফোবিয়া, যাকে মনোফোবিয়া, আইসোলোফোবিয়া বা ইরেমোফোবিয়াও বলা হয়, এটি বিচ্ছিন্নতা জনিত এক প্রকার নির্দিষ্ট ফোবিয়া।  ভুক্তভোগীদের শারীরিকভাবে একা থাকার দরকার নেই, তবে কেবল তারা বিশ্বাস করে যে, তারা উপেক্ষিত বা প্রেমবিহীন অবস্থায় আছে।    অটোফোবিয়ার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে: •একা থাকার বিষয়ে উদ্বিগ্ন •একা থাকাকালীন কী ঘটতে পারে সে সম্পর্কে ভয় অনুভব করা •কাঁপুন, ঘাম, বুকে ব্যথা, মাথা ঘোরা, হার্ট ধড়ফড়, •হাইপারভেন্টিলেশন এবং বমি বমি ভাব যখন একা হয়ে থাকে বা এমন পরিস্থিতিতে আপনি শীঘ্রই একা হয়ে যেতে পারেন অটোফোবিয়া একটি অযৌক্তিক উদ্বেগ যা বিকাশ লাভ করে যখন কোনও ব্যক্তি ভয় পান যে তারা একা শেষ হতে পারে। ব্যক্তিটি আর একা অনুভব না করা অবধি সাধারণভাবে কাজ করতে অক্ষম হতে পারে।  যখন তারা একা থাকে, তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের একাকীকরণের শেষ করতে মরিয়া বোধ করতে পারে। অটোফোবিয়াকে পরিস্থিতিগত ফোবিয়া হিসাবে বিবেচনা করা হয়।  এর অর্থ হলো একা থাকার বা একাকীত্ব হওয়ার পরিস্থিতি চরম হতাশা সৃষ্টি করে।  অটোফোবিয়ায় নির্ণয় করতে, আপনার একা থাকার ভয় আপনাকে এতটা উদ্ব...

তিন দিন ধরে জলে দাঁড়িয়ে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করেছিলো হাতিটি

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য কেরালাতে একটি অন্তঃসত্ত্বা হাতির মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র সমালোচনা তৈরি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে আনারসের ভেতরে বিস্ফোরক ভরে হাতিটিকে খাইয়ে দেয়া হয়েছিল। এর আগেও পশুদের প্রতি সহিংসতার নানা ঘটনা ঘটলেও হাতিকে বিস্ফোরক খাওয়ানোর সাম্প্রতিক এই ঘটনাটি স্তম্ভিত করেছে স্থানীয়দের। মোহন কৃষ্ণান নামে বন বিভাগের র‍্যাপিড রেসপন্স টিমের একজন ফরেস্ট অফিসার ঘটনাটি নিয়ে ফেসবুকে একটি আবেগী পোস্ট করার পর এই ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারে মানুষ। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, আহত হওয়ার পরও হাতিটি কাউকে আঘাত না করে গ্রাম ছেড়ে চলে যায়। তিনি পোস্টে আরো লেখেন যে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিগুলোতে হাতিটির কষ্টের প্রতিফলন হয় না। বন বিভাগের কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, হাতিটির বয়স আনুমানিক ১৪-১৫ বছর। আহত হওয়ার পর হাতিটি এতটাই শারীরিক যন্ত্রণার মধ্যে ছিল যে সে টানা তিনদিন ভেলিয়ার নদীতে দাঁড়িয়ে ছিল। এই সময়ের মধ্যে হাতিটিকে মেডিকেল সেবা দেয়ার চেষ্টা করা হলেও হাতিটিকে পানি থেকে সরানো সম্ভব হয়নি। তিনদিন ধরে হাতিটির মুখ এবং শুঁড় পানির নীচেই ছিল। স্থানীয় একটি খামারের পাশে হাতিটিকে ২৫শে...

ডেসিডোফোবিয়া (Decidophobia)

ডেসিডোফোবিয়াকে "সিদ্ধান্ত নেওয়ার অযৌক্তিক ভয়" হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।  এর চরম আকারে, যাদের এই ভয় রয়েছে তারা কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভেবেও আতঙ্কের সম্মুখীন হতে পারে। এই আতঙ্কের ফলে আপনার হার্ট রেট এবং শ্বাস প্রশ্বাস দ্রুত হয়, রক্তচাপ বেড়ে যায়, ঘাম হয়, পেশীগুলির উত্তেজনা এবং কাঁপতে থাকে। ডেসিডোফোবিয়ার লক্ষণসমূহ:  •উদ্বেগ  •প্যানিক   •পেশী টান এবং অতিরিক্ত ঘাম  •সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অন্যের উপর নির্ভরতা   •সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আশেপাশের উদ্বেগ সহ্য করার অক্ষমতা এই অনুভূতিগুলি এড়াতে, ডেসিডোফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা এমন পরিস্থিতিতে থাকতে পারে যেখানে তাদের সিদ্ধান্ত নিতে না হয়।  তবে এটি সমস্যাজনক হয়ে উঠতে পারে, বিশেষত আপনি যদি শিক্ষার্থী হন তবে আপনার মেজর, আপনার পছন্দসই স্কুল, আপনার সময়সূচী এবং আরও অনেক কিছুর মতো সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপনি যদি ডেসিডোফোবিয়ায় ভুগছেন বা এমন কাউকে চেনেন তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভয় বা কিছু ভুল করার ভয়কে কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করার জন্য এখানে কিছু পদ্ধতি রয়েছে: •কার্যক্ষম সিদ্ধান্ত নিন •সিদ্ধান্তের সংখ্যা...

অনিকোফেজিয়া

স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয়, শৈশবে রপ্ত করা অভ্যাসগুলো সহজেই ঝেড়ে ফেলা যায় না। আত্মতৃপ্তি মেলে এমন একটি অভ্যাস বাজে হলেও ত্যাগ করা অসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। এমনই একটি অভ্যাস হল দাঁত দিয়ে নখ কাটা। বিজ্ঞান একে নাম দিয়েছে ‘অনিকোফেজিয়া’ (Onychophagia), যা নেইল বাইটিং নামেও পরিচিত।  এটিকে কখনও কখনও প্যারাফানশিয়াল ক্রিয়াকলাপ হিসাবে বর্ণনা করা হয়, কথা বলা, খাওয়া বা পান করা ব্যতীত অন্য কোনও কাজের জন্য মুখের সাধারণ ব্যবহার। পরিণত বয়সেও এই বদভ্যাসের কারণে অনেকেই বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন। মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, কেনো এই অভ্যাস গড়ে ওঠে! এ বিষয়ে আছে অনেক গবেষণা ও তথ্য। অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত নিউরোলজিস্ট সিগমন্ড ফ্রডের মতে, “সাইকোসেক্সেুয়াল ডেভেলপমেন্ট’ মানসিক ভাবে যৌনকার্যকলাপ সম্পর্কিত সমস্যা থাকার ইঙ্গিত হল দাঁত দিয়ে নখ কাটা।”অন্যান্য গবেষণা অনুযায়ি এই বদভ্যাসের অন্যান্য কারণও আছে। •বিরক্তি ও মানসিক চাপ •অবসেসিভ কম্পালশান ডিজঅর্ডার •অতিমাত্রায় ত্রুটিমুক্ত থাকার দুশ্চিন্তা এই বদভ্যাস ত্যাগ করার উপায় •ইয়োগা, জোরে শ্বাস নেওয়া, ধ্যান ইত্যাদির মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানো যায়, ফলে দূর ...

থেনাটোফোবিয়ার সাথে লড়াই

থেনাটোফোবিয়াকে (Thanatophobia) সাধারণত মৃত্যুর ভয় হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।  আরও সুনির্দিষ্টভাবে বলা যায়, এটি মৃত্যুর ভয় বা মরণ প্রক্রিয়ার ভয়।  আমাদের আধুনিক ইংরেজি শব্দ থেনাটোফোবিয়া গ্রীক দুটি শব্দ থেকে উদ্ভূত:  "থেনাটোস" বলতে প্রাচীন গ্রিসে "মৃত্যু" বোঝানো হতো এবং এটি অনেক প্রাচীন প্রোটো-ইন্দো-ইউরোপীয় শব্দ থেকে উদ্ভূত যার অর্থ "অদৃশ্য হওয়া বা মারা যাওয়া"।আর "ফোবিয়া" গ্রীক শব্দ "ফোবস" থেকে এসেছে, যার অর্থ "ভয়, আতঙ্কের ভয়, সন্ত্রাস, ভয়ের বাহ্যিক প্রদর্শন; ভয় বা সন্ত্রাসের বিষয়"।  এই শব্দটি "চালানোর জন্য" পুরানো প্রোটো-ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার একটি শব্দ থেকেও উদ্ভূত হয়েছে। যদিও আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন আনুষ্ঠানিকভাবে থেনাটোফোবিয়াকে একটি ব্যাধি হিসাবে স্বীকৃতি দেয় না।  পরিবর্তে, এই আশঙ্কার কারণে কেউ যে উদ্বেগের মুখোমুখি হতে পারে তার জন্য প্রায়শই সাধারণ উদ্বেগকে দায়ী করা হয়। কোনও ব্যক্তি চরম উদ্বেগ ও ভয় অনুভব করতে পারে যখন তারা বিবেচনা করে যে মৃত্যু অনিবার্য।   তখন তারা অনুভব করে ; • বিচ্ছেদ...

সেন্ট মার্টিন দ্বীপ

সেন্ট মার্টিন দ্বীপটি কক্সবাজার টেকনাফ উপদ্বীপের দক্ষিণ দিকের প্রায় 9 কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্ব অংশের একটি ছোট দ্বীপ (অঞ্চল মাত্র 36 বর্গ  কিমি ) এবং এটি বাংলাদেশের দক্ষিণতম অংশ গঠন করে।  সংলগ্ন একটি ছোট দ্বীপ রয়েছে যা উচ্চ জোয়ারে পৃথক করা হয়, তাকে ছেড়া দ্বীপ বলে। অনেক অনেক আগে, দ্বীপটি টেকনাফ উপদ্বীপের সম্প্রসারণ হিসাবে ব্যবহৃত হত, তবে পরবর্তী সময়ে এই উপদ্বীপের কিছু অংশ ডুবে যায় এবং এইভাবে উপস্থাপিত উপদ্বীপের দক্ষিণতম অংশটি একটি দ্বীপে পরিণত হয়েছিল এবং এটি বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।  আদিবাসী নাবিকরা এই দ্বীপের নাম 'জাজিরা' রেখে ২৫০ বছর আগে প্রথম বন্দোবস্ত শুরু হয়েছিল।  ব্রিটিশদের দখলের সময় এই দ্বীপটির নামকরণ করা হয়েছিল চট্টগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মিঃ মার্টিন এর নামানুযায়ী সেন্ট মার্টিন দ্বীপ হিসাবে।  দ্বীপের স্থানীয় নাম হ'ল "নারিকেল জিনজিরা" যার অর্থ 'নারকেলের দ্বীপ', এবং "দারুচিনি দ্বীপ"। এটি বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। প্রকৃতি সংরক্ষণ কৌশল -২ প্রকল্পের আওতায় সাম্প্রতিক বাংলাদ...

সোশ্যাল ফোবিয়া

লজ্জা একধরনের অস্বস্তি যা আমাদের অনেকের হয়ে থাকে।অল্পস্বল্প হলে এতে বিশেষ অসুবিধা হয় না। আমাদের অনেকের অপরিচিত লোকের সঙ্গে কথা বলতে গেলে লজ্জা করে, কিন্তু প্রাথমিক আড়ষ্টতা কেটে গেলে আমরা স্বচ্ছন্দ বোধ করি, এমনকি উপভোগও করতে পারি তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা। আপনার সোশ্যাল ফোবিয়া থাকলে আপনি অচেনা লোকের সামনে খুব অস্বস্তিবোধ করবেন। আপনার মনে হবেঃ • সবাই আপনাকে অপছন্দ করছে • আপনি এখনি কী করতে কী করে বসবেন   এই অনুভূতি এতই কষ্টকর হতে পারে যে আপনি হয়ত লোকের সঙ্গে মেলামেশাই করতে পারবেন না। সব সামাজিক অনুষ্ঠান আপনি এড়িয়ে যাবেন। প্রধানতঃ দুধরনের সোশ্যাল ফোবিয়া দেখা যায়ঃ ক. সাধারণ (বা জেনেরালাইজেড):মনে করেন যে লোকে আপনার দিকে তাকিয়ে দেখছে বা তাঁরা আপনি কী করছেন না করছেন তার উপর নজর রাখছে খ. স্পেসিফিক:  এটি দেখা যায় কিছু লোকের মধ্যে যাঁদের কাজের ধরনই এমন যে তাঁদের মধ্যমণি হতে হয়। নায়ক, গায়ক, শিক্ষক বা ইউনিয়নের নেতা প্রমুখরা এই দলের অন্তর্ভুক্ত। স্পেসিফিক সোশ্যাল ফোবিয়া থাকলে লোকের সঙ্গে মেলামেশা করতে কোনো অসুবিধা হয় না। কিন্তু সবার সামনে যখন দাঁড়িয়ে কথা বলতে বা গান গাইতে গেলে টেনসন হয় এব...

ফেসমোফোবিয়া (Phasmophobia)

আপনি হয়তো খুব ভয়ের একটি চলচ্চিত্র দেখলেন বা একটা ভূতের বই পড়লেন। কিন্তু গল্প শেষ হয়ে গেলেও গল্পের চরিত্রগুলোর সাথে অনেক বেশি একাত্ম হয়ে আছেন। রাতে যখন ঘুমোতে গেলেন, তখন গল্পের সবগুলো ভৌতিক দৃশ্যগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠতে লাগলো। বিছানায় একা শুয়ে আছেন, কিন্তু মনে হলো কীসের যেন একটি আওয়াজ শুনতে পেলেন।  আমাদের প্রত্যেকের জীবনের সঙ্গেই ভয় কোনো না কোনোভাবে জড়িয়ে আছে। বিভিন্ন অলৌকিক বা অশরীরী ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের ‘ভূতের ভয়’ নামক অনুভূতি আবর্তিত হয়। কারো কাছে ব্যাপারখানা নিতান্তই রোমাঞ্চের, আবার কারো কাছে জীবন কেড়ে নেয়ার মতো ব্যাপার।  অনেক শিশু অল্প বয়স থেকেই ভূত বা অন্যান্য জগতের প্রাণীগুলির একটি ভয় অনুভব করে।  অনেকের কাছে, সেই ভয় ও উদ্বেগগুলি কৈশোরে চলে যাওয়ার সাথে সাথে তারা অদৃশ্য হয়ে যাবে।  তবে অন্যের জন্য ভয় থেকেই যায়। কারো কারো ক্ষেত্রে ভূতের ভয় এমনই তীব্র আকার ধারণ করে যে নিদ্রাহীনতা, হৃদরোগ, স্কিজোফ্রেনিয়া, ইনসোমনিয়ার মতো রোগেও আক্রান্ত হতে পারেন। চিকিৎসাশাস্ত্রে ভূতের এই ভয়কেই ফেসমোফোবিয়া বলে আখ্যা দেয়া হয়। কোনও ধরণের ফোবিয়া কেন বিকশিত হয় তা স্পষ্ট নয়...

জাহাজের তীর বিড়ম্বনা

কখনও কি খেয়াল করে দেখেছেন যে,ঘূর্ণিঝড়ের সময় জাহাজকে তীরে না এসে সমুদ্রে থাকতে বলা হয় কেন? বড় রকমের প্রাকৃতিক দূর্যোগের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় অন্যতম। ঘূর্ণিঝড় মানেই ভয়ানক বিপদ। এসময় সমুদ্রে থাকা সব জেলে ও জাহাজকে তীরে নিরাপদ স্থানে ফিরে আসতে বলা হয়। তবে জানলে অবাক হবেন যে, ঘূর্ণিঝড়ে মালবাহী জাহাজকে তীরে না এসে সমুদ্রে থাকতে বলা হয়। এর পেছনেও রয়েছে একটি রহস্য। দেরি না করে চলুন তবে জেনে নেয়া যাক মালবাহী জাহাজকে তীরে না এসে সমুদ্রে থাকতে বলার কারণ- ১. জাহাজ বিশেষ ধরনের দড়ি দিয়ে বাধা থাকে বন্দরে, ঝড়ের সময় এই দড়িগুলো সহজেই ছিড়ে যায় ফলে পাশাপাশি থাকা জাহাজগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ হতে পারে। যা শুধু জাহাজের মানুষের জীবনই বিপন্ন করবে না, সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশের বিপর্যয়ও ঘটাতে পারে। যদি তাদের তেলের ট্যাংক ছিদ্র হয়ে যায়। তবে বাড়বে আরো বিপদ। ২. প্রত্যেকটা পোর্টের জাহাজ চলাচলের জন্য একটা চ্যানেল থাকে। এই কারণে ঝড়ের সময় দড়ি ছিড়ে যদি জাহাজ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চ্যানেলে আড়াআড়ি ভাবে আটকে যায়, তাহলে ঝড়ের পর জাহাজটি না সরানো পর্যন্ত ওই বন্দর আর ব্যবহার করা যাবে না। যা খুব সময় এবং ব্যয় সাপেক্ষ। ২০১৭ সালের ৩০ মে বঙ্গোপসাগরের ব...

ফ্লোটার্স ইন দ্যা আই

আই ফ্লোটার, মায়োডোসপিস বা মুস্কি ভোলিন্টাস (লাতিন ভাষায়, উড়ন্ত ফ্লাইস) নামে পরিচিত।   এটি এমন একটি ছোট আকারের বস্তু যা কিছু মানুষ তাদের দর্শন সীমায় ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান। ফ্লোটারগুলি চোখের ভিট্রিয়াস জেলের অভ্যন্তরে অবনতিজনিত পরিবর্তন থেকে উৎপন্ন হয় এবং প্রায়শই প্রদর্শিত হয় যখন ভিট্রিওস জেলটি রেটিনা থেকে আলাদা হয় যেখানে এটি আলগাভাবে সংযুক্ত থাকে।  এই পৃথকীকরণ একটি স্বাভাবিক এবং সাধারণ ঘটনা।  বয়স, মায়োপিয়া, চোখের বিচ্ছিন্নতা, ক্যাপসুলোটোমিজ (একটি লেজারের মাধ্যমে উত্তরকোষের ক্যাপসুল পরিষ্কার করা) এবং ভিটরিয়াস বিচ্ছিন্নতা ফ্লোটারগুলির সূত্রপাতের জন্য   দায়ী। যদিও ফ্লোটারগুলি খুব বিরক্তিকর হতে পারে, তবে তারা চোখের জন্য ক্ষতিকর না। যদি ফ্লোটারগুলি যথেষ্ট পরিমাণে দৃষ্টি সীমাবদ্ধতা তৈরি করে তবে দুটি চিকিৎসা করা যেতে পারে: •লেজার ভিট্রিওলিসিস, ইয়াজি সার্জিকাল লেজারের মাধ্যমে, যা রোগীর দৃষ্টিশক্তি পরিবর্তন করে;  •ভিট্রিকোমি, একটি ফ্লোটারে লবণযুক্ত দ্রবণ দ্বারা ভিট্রিয়াস হিউমার প্রতিস্থাপনের সাথে ভিজ্যুয়াল প্রতিবন্ধকতা জড়িত সেই ক্ষেত্রে ব্যবহৃত...