❝পাবলিক বনাম
সরকারি বনাম স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়❞
২০১৬ তে এসএসসি পরীক্ষার পার্ট শেষ করার পরে ছুটির সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সৌভাগ্য হয়েছিলো আমার। অবশ্য এতো দিনের পরিক্রমায় প্রায় সবই ভুলে গিয়েছিলাম।
হঠাৎ করে একটা ইউটিউব ভিডিও থেকে
তথ্য পেলাম যে, বাংলাদেশে অভিজাত শ্রেণীর বিশ্ববিদ্যালয় মাত্র চারটি! মনে প্রশ্ন তৈরি হলো যে, তাহলে আমার বিশ্ববিদ্যালয় কি তবে অভিজাত হীন?
এই নিয়ে, নেট ঘাটাঘাটি করে যে সকল তথ্য পেলাম তা শেয়ার করতে ইচ্ছে হলো। কেনো জানি মনে হয় এই তথ্য গুলো আমাদের অনেকেরই অগোচরে আছে। লেখায় ভুল থাকলে তা একান্তই অযাচিত, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো। চলুন শুরু করি …
বিশ্ববিদ্যালয় কে আমরা সঙ্গায়িত করতে পারি
এমন এক উচ্চ-স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসাবে যেখানে শিক্ষার্থীরা ডিগ্রি এবং একাডেমিক গবেষণার জন্য পড়াশোনা করে এবং উন্নয়নমুখী গবেষণা সম্পাদিত হয়।
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ কে মূলত তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে: পাবলিক, বেসরকারি এবং আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় । বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের অধিভুক্ত যা আবার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি আদেশ (১৯৭৩ সালের পি.ও. নং ১০) অনুযায়ী গঠিত একটি কমিশন।
উপরে উল্লেখিত তিন শ্রেণীর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সবচে বৈচিত্র্যতা দেখা যায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কে ঘিরে। তথাকথিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা আবার তিনটি অকথিত সাব ক্যাটাগরিতে ভাগ করতে পারি। যথা:
•পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়
•সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
•স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়:
যেসব প্রতিষ্ঠান তথা বিশ্ববিদ্যালয় বাজেট এর জন্য সরকারের উপর নির্ভরশীল সেগুলো হলো পাবলিক প্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয়। পাবলিক প্রতিষ্ঠানে সরকার পরোক্ষ ভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশনের মতামত ও হস্তক্ষেপ এবং সিদ্ধান্ত রাখেন। [হস্তক্ষেপ রাখার উদাহরণ জানতে
পড়ুন] সরকার অনেকটা কখনো উপদেষ্টা কখনো সিদ্ধান্ত দাতা হিসেবে কাজ করেন।
সুতরাং যেসব প্রতিষ্ঠানে বা বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের পরোক্ষ হস্তক্ষেপ রয়েছে সেগুলো পাবলিক প্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয় বলে।
উদাহরণস্বরূপ: শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়:
যে সকল প্রতিষ্ঠানের সব কিছু সরকার পরিচালনা , নিয়ন্ত্রণ , হস্তক্ষেপ করে সে গুলো হলো সরকারি। সরকারের অধীনেই পরিচালিত হয় । অর্থাৎ সরকারি প্রতিষ্ঠানে সরকারের প্রত্যক্ষ প্রভাব বিদ্যমান। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে সরকারই প্রধান বিষয়টা এমন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ,শিক্ষক প্যানেল সরকারের আমলা হিসেবে কাজ করে থাকেন।।
উদাহরণস্বরূপ: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়,
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি
স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়:
যে সকল প্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদযালয় পরিচালনা , নিয়ন্ত্রণের জন্য নিজস্ব রুলস ও রেগুলেশন রয়েছে। তাদের জন্য আলাদা অধ্যাদেশ রয়েছে। এবং এগুলোতে সরকার সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে না সে গুলো হলো স্বায়ত্তশাসিত যা '৭৩ এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী পরিচালিত হয়। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রশাসন দেশের মধ্যেই সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার হিসেবে কাজ করে। এখানে মূল ক্ষমতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ।
স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো বা বিশ্ববিদযালয়গুলো তাদের বাৎসরিক বিভিন্ন খাতের বাজেটের জন্য সরকারের উপর নির্ভরশীল হতেও পারে, নাও পারে।
তবে সরকারই বলা যায় তাদের মূল অর্থের যোগান দিয়ে থাকেন।
বাংলাদেশে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় চারটি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদযালয়,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
তথ্যসূত্র:
➤Wikipedia
➤Prothom Alo
➤UGC
➤Others
চিত্র সংগ্রহ:
➤Home.blog
