Skip to main content

Posts

Showing posts from 2021

রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে বিষণ্ণতা চিহ্নিত করা যাবে, নতুন গবেষণায় দাবি

বিষণ্নতা এমন একটি মানসিক সমস্যা যার ফলে সাধারণত কোনো ব্যক্তি হতাশ, মন খারাপ কিংবা  সবকিছুর প্রতি অনীহা বোধ করেন। বিষণ্নতার কারণে ব্যক্তির ব্যক্তিগত, পারিবারিক, শিক্ষাগত, পেশাগত ও সামাজিক জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং স্বাভাবিক কর্মতৎপরতা ব্যাহত হয়। একটা সমীক্ষা   অনুসারে, প্রতি চারজনে একজন তাদের জীবদ্দশায় একটি হতাশাজনক পর্বে ভোগেন। এখন প্রশ্ন হলো যে আপনি সত্যিই বিষণ্নতায় ভুগছেন তা নিশ্চিত হবেন কীভাবে! বিজ্ঞানের উৎকর্ষতা আমাদের সামনে এক নতুন পথ খুলে দিয়েছে এই সমস্যা সমাধানের। যদিও এ সম্পর্কিত বর্তমান ডায়াগনসিস পদ্ধতিগুলি মূলত ট্রায়ালে আবদ্ধ।   ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ মেডিসিনের গবেষকদের দ্বারা একটি যুগান্তকারী অধ্যয়ন  এ বিষয়ে নতুনভাবে আলোকপাত করেছে এবং চিকিৎসার  জন্য একটি নির্ভুল-ওষুধ পদ্ধতির লক্ষ্যে একটি প্রতিশ্রুতিশীল  ​​​​পরীক্ষা প্রদান করেছে। গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে  Dr. Alexander B. Niculescu এবং তাঁর টিমের দ্বারা। এই স্টাডিতে বর্ণনা করা হয়েছে কিভাবে আরএনএ বায়োমার্কার সংমিশ্রিত ব্লাড টেস্ট সম্পন্ন করা সম্ভব৷ উল্লেখ্য যে, বায়োমা...

আর্যরা কি সত্যিই বহিরাগত? পর্ব - ৫/৫

আর্যরা বহিরগত না হলে তাদের আদি নিবাস কোথায় এবং তারা সত্যিই কারা?    পর্ব – ৫/৫ : আর্যরা মূলত কোথাও থেকে আসেনি। বিগত প্রায় ৬০০০০ বছর ধরে তাঁরা ভারতীয় উপমহাদেশেই বসবাস করছিল এবং ধীরে ধীরে বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে তারা পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন ও উন্নত সভ্যতা তৈরি করেছিল, সেটা হলো সিন্ধু সভ্যতা বা হরপ্পা সভ্যতা। হরপ্পা সভ্যতার অনেক ধ্বংসাবশেষ বিগত কয়েক বছরে উত্তর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে খনন কার্যের ফলে পাওয়া গেছে। প্রতিটা শহরের ডিজাইন, প্ল্যানিং, লে আউট সব এক। এক রকম নিকাশী ব্যবস্থা, খাদ্যশস্য ভাণ্ডার, স্নানাগার, বড় বড় প্রাসাদ, সব শহরেই পাওয়া গেছে। খ্রীঃ পূঃ ২৬০০ সালে মেসোপটেমিয়ার সাথে হরপ্পার বাণিজ্যের প্রমাণ পাওয়া গেছে। হরপ্পার সীলমোহর, গয়নার যে রকম নমুনা পাওয়া গেছে, একে তাই কোনো বিচ্ছিন্ন সভ্যতা না বলে এক সুশাসিত সাম্রাজ্য বলা উচিত হবে। হরপ্পা সভ্যতার ধ্বংস প্রধানত জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য হয়েছিল। মহেঞ্জোদারো শহরেই ৩ বার ভীষণ বন্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যদিও মহেঞ্জোদারো অনেক উঁচুতে অবস্থিত ছিল। কিন্তু নীচু জায়গা সব সম্পূর্ণ রূপে জলের তলায় জলে যাওয়া স্বাভাবিক ছিল, আর সেই সব জায়গার ...

আর্য রা সত্যিই বহিরাগত? পর্ব -৪/৫

আর্য তত্ত্ব   পর্ব – ৪/৫ : আজকের আলোচনাটা ডঃ আম্বেদকরের একটি উক্তি দিয়ে শুরু করা যাক  ❝ The theory of (Aryan) invasion is an invention . It’s a perversion of scientific investigation, it is allowed to evolve out of facts…… It falls to the ground at every point. All available evidence shows that India’s civilization, whose roots go back even before the Harappan Civilization, grew on Indian soil. As the US Archaeologist Jim Shaffer puts it. ❞ আর্য বলতে জীবন যাপনের শৃঙ্খলাবদ্ধ পদ্ধতি কে বোঝানো হয়েছে, বেশির ভাগ আধুনিক পণ্ডিত এই মতবাদ মেনে নিয়েছেন। তাই ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র আর্যদের বর্ণবিভাগ। ‘অন্ত্যযশ’ বলে একটি উপজাতিকে আর্য বলা হচ্ছে না কারণ তারা আর্যদের এই জীবন যাপন পদ্ধতি মেনে চলতো না। অথর্ব বেদে অনার্যদের ব্রাত্য বলা হয়েছে। যদি আর্যরা বিদেশী, আলাদা একটি জনজাতি হতো, তবে তারা নিজেদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক আবদ্ধ রাখতো নিজেদের বিশুদ্ধতা বজায় রাখতে। কিন্তু আর্য অনার্যদের মধ্যে বিবাহ খুব সাধারণ ছিল।   খ্রীঃ পূঃ ১৫০০ সালে ইউরোপ থেকে কোনো জনজাতি ভারতবর্ষে প্রবে...

আর্যরা কি সত্যিই বহিরাগত? পর্ব - ৩/৫

ইনভেশন থিউরি উদ্ভবের পেছনে মূল কারণ     পর্ব – ৩ / ৫ : আর্যরা বহিরাগত এই তত্ত্ব সম্পূর্ণ ভাবে ইউরোপীয় মস্তিষ্ক প্রসূত ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত একথা হয়তো পাঠক শ্রেণী ইতোমধ্যেই আঁচ করতে পারছেন । প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতার দর্শন , বিজ্ঞান , জ্যোতি বিজ্ঞান ,  স্থাপত্য বিজ্ঞান এতটাই   উন্নত ছিল যে অষ্টাদশ শতাব্দীতেও ইউরোপীয় পণ্ডিতদের ভাবনার বাইরে ছিল তা ।   কিন্তু আত্ম অহংকারী শ্বেতাঙ্গরা মেনে নিতে পারেনি যে কৃষ্ণাঙ্গরা তাদের থেকে উন্নত । তাই শুরু হলো ক্ষমতা ও বুদ্ধির অদ্ভুত নোংরা রাজনীতির খেলা । বিখ্যাত French Philosopher Voltaire প্রায় ২০০ বছর আগে বলে গেছেন ❝ I am convinced that everything has come down to us from the banks of the Ganges. Astronomy, Astrology, Metempsychosis etc. . . It does not behove us, who were only savages and barbarians when these Indian and Chinese peoples were civilized and learned, to dispute their antiquity.❞ আর্যদের এই জন্য ইউরোপীয়দের মত দেখতে বলা হলো ,...

আর্যরা কি সত্যিই বহিরাগত? পর্ব - ২/৫

আর্যরা বহিরাগত : একটি পরিকল্পিত ইউরোপীয় তত্ত্ব   পর্ব – ২ / ৫ : আর্যরা বহিরাগত আক্রমণকারী এই তত্ত্ব মূলত Abbe Dubois এবং Max Muller এর লেখায় বহুল প্রচলিত হয় । Abbe Dubois এর লেখা ফ্রেঞ্চ বই এর ইংরেজি অনুবাদ Hindu Manners Customs And Ceremonies (1897) এই বইতে তিনি আরব ও মিশরের মানুষদের ভারতে আসার পরিবর্তে ককেসিয় অঞ্চলের মানুষদের অখন্ড ভারতবর্ষে আগমনের সপক্ষে বলেন । ষোড়শ শতাব্দীতে ফ্লোরেন্সের এক ব্যবসায়ী Filippo Susseti প্রথম সংস্কৃত ও ইউরোপীয় প্রধান ভাষার সাথে মিল খুঁজে পান । পরে ১৭৮৬ সালে বেঙ্গল এশিয়াটিক সোসাইটিতে স্যার উইলিয়াম জোন্স এই তত্ত্বকে সমর্থন করেন । পরবর্তী কালে ভাষাতত্ত্ববিদ ম্যাক্স মুলার এই তত্ত্বকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যান । তার Lecture On The Science Of Languages এ এই তত্ত্বকে আরো প্রামাণ্য করে তোলেন এই বলে যে সংস্কৃত , পারসি , গ্রীক , ল্যাটিন , জার্মান , গথিক ও সেলটি ক এই সাতটি ভাষাকে ইন্ডো আর্য ভাষা বলা হয় এদের মধ্যে ভাষাগত মিলের জন্য । এদের ‘ প্রোটো ই...